চুল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা!

চুল পড়াকে মেডিকেলের ভাষায় আমরা বলি টাক পড়া। পুরুষ, মহিলা উভয়ের মাঝেই এই সমস্যা দেখা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে চুল পড়াটা বংশগত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া নানাবিধ রোগ, দুশ্চিন্তা, চুলের সঠিক যত্ন না নেয়া এসব থেকেও চুল পড়ে যায়।

চুল পড়ার কয়েকটি বিশেষ কারণ-

১.চুলের সঠিক যত্ন না নেয়া

অনেক পুরুষ-মহিলারা চুলে নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করেন। যেমন-ব্লিচ, রং করা কিংবা চুল স্ট্রেট করা। এসব ট্রিটমেন্ট যদি সঠিকভাবে না করা যায় তবে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। কেমিক্যালের মাত্রা যদি বেশি হয় কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের বেশি চুলে রাখা হয় তবে চুল দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে যাবে। একই দিনে দুই ট্রিটমেন্ট নেয়া হলে অথবা ব্লিচ করা চুলে আবার ব্লিচ করলে চুল নষ্ট হয়ে যায়।

২. রোগবালাই

নানা ধরনের অসুখ যেমন-ডায়াবেটিস, থাইরয়েড এর মাত্রা কম- বেশি এগুলো চুল পড়ার অন্যতম কারণ। থাইরয়েড এর মাত্রা সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে এনে চুল পড়া প্রতিরোধ করা যায়।

৩. পুষ্টিকর খাবারের অভাব

খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, আয়রনের অভাবে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। অনিয়মিত ডায়েট অথবা রুটিনমত না খাওয়া থেকেও পুষ্টিহীনতা হতে পারে। পর্যাপ্ত প্রোটিন না খেলে এর প্রভাব পড়তে থাকে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। তখন একেবারে গোড়া থেকেই চুল উঠে আসে। প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রেখে চুল পড়া সমস্যা সমাধান করা যায়।

৪.ঔষধের প্রভাব

বাত, হার্টের অসুখ, দুশ্চিন্তা, হাইপ্রেসারের জন্য সেবন করা ঔষধের প্রভাব থেকেও চুল পড়ে যায়। এছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণকারী ঔষধের প্রভাবেও অনেক মহিলার চুল পড়ে যেতে পারে।

৫.অধিক শ্যাম্পু ব্যবহার এবং বারবার চূল আচড়ানো

বেশি বেশি শ্যাম্পুর ব্যবহার এবং এলোমেলোভাবে চুল না আচড়িয়ে বরং সঠিক নিয়মে মোটা চিরুনি দিয়ে চুল আচড়ান।

৬. সন্তান জন্মদান

সন্তান জন্মের পর অনেক মহিলার চুল পড়ে যায়। এটা ছয় মাসের বেশি স্থায়ী হলে উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হবে।

৭. আয়রনের অভাব

খাদ্যতালিকায় আয়রনের পরিমাণ যথাযথ রাখতে হবে। বিশেষকরে মহিলাদের এ ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে।

সর্বোপরি সঠিক খাদ্যাভাস চুল পড়াকে কমাতে অনেকখানি। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই  বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। সঠিক চিকিৎসা চুল পড়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।

সূত্র:এনডিটিভি