বিশ্বকাপ জিততে সাউথ আফ্রিকার চাই ১৭৭

শেষ প্রহরে এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফাইনালে সাউথ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। রানতাড়ায় এইডেন মার্করামের দল সফল হলে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে বিশ্ব। গ্রুপপর্ব, সুপার এইট ও সেমিফাইনাল মিলিয়ে টানা ৮ ম্যাচে অপরাজিত দু’দলই। এক দলের জয়যাত্রা থামতে চলেছে বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে।

গত ৩২ বছরে পাঁচটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে সাউথ আফ্রিকা। কিন্তু কখনোই খেলা হয়নি ফাইনাল। স্বপ্নপূরণের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ প্রোটিয়াদের। আশা জাগিয়েও রোহিত শর্মার দলকে অল্পতে আটকাতে পারেনি তারা।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলেছে। ওপেনিংয়ে নামা বিরাট কোহলি আউট হন ১৯তম ওভারে গিয়ে। ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন ভালো পুঁজি। কিং কোহলি মারেন ৬টি চার ও ২টি ছয়। শিভম দুবে ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নেন।

২৩ থেকে ৩৪ রানে রানে যেতে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল ভারত। একপ্রান্ত আগলে প্রতিরোধ গড়েন কোহলি। ১১ রানের ব্যবধানে দ্রুত ৩ উইকেট হারানোয় অক্ষর প্যাটেলকে নামিয়ে দেয়া হয় ব্যাটিং পজিশনে প্রমোশন দিয়ে। তাতেই বদলায় ভারতীয় ইনিংসের চেহারা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভারতকে এ বাঁহাতি ব্যাটার নিয়ে যান ভালো অবস্থানে।

ব্যক্তিগত ফিফটির আগে রান আউট হয়ে ফেরেন অক্ষর। ৩১ বলে করেন ৪৭ রান। ধৈর্য্য নিয়ে ব্যাটিং করে আসরে প্রথম ফিফটি পান কোহলি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে মূল্যবান ৭২ রান। ১৪ ওভারে ভারত দলীয় শতক ছাড়িয়ে যায়।

ব্রিজটাউনে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কোহলি দুর্দান্ত শুরু করলেও অন্য প্রান্ত থেকে ভারত হারায় তিন উইকেট। কেশব মহারাজ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া শিকারের দেখা পান।

এ বাঁহাতি স্পিনার রোহিতকে (৯) ফেরানোর এক বল পরই রিশভ পান্টকে (০) সাজঘরে পাঠান। দুই ব্যাটারই ক্যাচ দেন সুইপ করতে গিয়ে। পরে কাগিসো রাবাদার বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেন সূর্যকুমার যাদব (৩)।

শিরোপার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে স্ট্রাইক নেন রোহিত। মার্কো জানসেনের প্রথম বলেই সিঙ্গেল নিয়ে রানের খাতা খোলেন ভারতীয় অধিনায়ক। টুর্নামেন্টে অফফর্মে থাকা কোহলি প্রথম দুই বলেই মারেন বাউন্ডারি। তিন বাউন্ডারিতে শেষ করেন প্রথম ওভার। দলীয় সংগ্রহে জমা হয় ১৫ রান

প্রথম ওভারের পর দ্বিতীয় ওভারের শুরুর দুই বলে বাউন্ডারি মারেন রোহিত। শিরোপার লড়াইয়ে স্বপ্নের মতো শুরুটা মুহুর্তে দুঃস্বপ্নে রূপ নেয়। তিন বলের ব্যবধানে হারায় দুটি উইকেট।