রংপুরে জানাযা শেষে বনানীতে এরশাদের দাফন

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে রংপুর নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এমআই বিমানবাহিনীর ১৭১এসএইচ হেলিকপ্টারটি এরশাদের মরদেহ নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে চতুর্থ নামাজে জানাযা শেষে বাদ আসর বনানী সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

এর আগে এরশাদের প্রথম নামাজে জানাযা রোববার সেনানিবাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে, সোমবার দ্বিতীয় জানাযা জাতীয় সংসদের টানেলে এবং তৃতীয় জানাযা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে এইচ এম এরশাদের কুলখানি হবে।

এছাড়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় ও কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৮ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শোক বই খোলা থাকবে।

রংপুরে দাফন নিয়ে গোলযোগের আশঙ্কা নেই: জিএম কাদের
রংপুরে এরশাদের দাফন নিয়ে গোলযোগের কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন এরশাদের ভাই ও জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের৷ রংপুরে এরশাদের দাফনে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়াকে তিনি এরশাদের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন।

এরশাদের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার রংপুরে নিয়ে বিকেল ৩টা নাগাদ ঢাকায় ফিরিয়ে আনার কথা জানান কাদের। বনানীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের সময় বিভিন্ন দূতাবাসের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ।

এর আগে শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে গত ২৬ জুন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি ফুসফুসে সংক্রমণসহ বয়সজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।