সাত জানুয়ারির পর সবোর্চ্চ মৃত্যু ৩০

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৮০তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩০ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৭২০ জনে।

এরআগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ৩১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‍সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৫ হাজার ১১১টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৮০৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ।

তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৭৮ হাজার ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৭টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ লাখ ৩৪ হাজার ২৩০টি নমুনা।

এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৭ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৭৫৪ জনসহ মোট পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ১৫৯ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও পাঁচ জন নারী। তাদের মধ্যে ২৯ জনের হাসপাতালে ও একজনের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা আট হাজার ৭২০। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৫৯৫ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং দুই হাজার ১২৫ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব এক জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাত জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২০ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চার জন, খুলনা বিভাগে এক জন ও সিলেট বিভাগে এক জন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১২ কোটি ৩৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ লাখ ২৯ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন নয় কোটি ৯৮ লাখের বেশি।