‘আমাদের ছোট ছোট সুখ দুঃখের গল্পগুলোও বলা দরকার’

ওটিটি কন্টেন্ট মানেই অ্যাকশন, থ্রিলার আর প্রচণ্ড ভায়োলেন্সে ভরপুর। যার ফলে প্রায়শই অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এসব কারণে কি জীবনের মূল্যবোধ কিছুটা হলেও সংকটে নয়? তবে এসব বিতর্ক পাশ কাটিয়ে ইদানিং অনেকেই ওটিটিতে দারুণ সব কন্টেন্ট নির্মাণ করছেন। মানবিক গল্প নিয়ে কাজ করছেন।

কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি কিংবা মনোগামীর মতো কাজও হচ্ছে ওটিটিতে। সদ্য দেশের অন্যতম ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনে মুক্তি পেল তেমনি একটি কন্টেন্ট ‘অফ দ্য মার্ক’।

গুণী অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি পরিচালিত ওয়েব ফিল্মটি পারিপার্শ্বিক বাধা অতিক্রম করে ছোট শহরের একজন কিশোরের ক্রিকেটার হওয়ার গল্প নিয়ে নির্মিত। ফিল্মটির দৈর্ঘ্য ৭২ মিনিট।

নির্মাণের বিভিন্ন মাধ্যম উন্মোচিত হলেও শিশু-কিশোরদের নিয়ে এখন খুব বেশী কাজ হয় না। শুধু তাই নয়, ওটিটির জন্য নির্মিত কাজগুলোর বেশীর ভাগই পারিবারিক কন্টেন্ট নয়। সেই জায়গা থেকে ‘অফ দ্য মার্ক’-কে ব্যতিক্রম বলছেন মিমি।

তিনি বলেন, কিশোর-তরুণদের কথা মাথায় রেখেই আমি ‘অফ দ্য মার্ক’ নির্মাণ করেছি। পুরোপুরি এটি একটি পারিবারিক কন্টেন্ট। আমার মনে হয়, বাচ্চাদের জন্য আরো আমাদের কন্টেন্ট বানানো দরকার। সারাক্ষণতো পেপার খুললেও নানান মন খারাপের গল্প দেখি, পর্দা খুললেও এসব মন খারাপের গল্প ভালো লাগে না। একটু ফ্রেশ চিন্তার প্রয়োজন আছে।

মিমি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে স্ক্রিনে ভায়োলেন্স বিরোধী। আমি কোনো ভায়োলেন্স প্রধান ছবি দেখি না। চেষ্টা করি, ভায়োলেন্স আছে এমন কোনো ছবিতে কাজ না করতে। আমি রোমান্টিক কমেডি, ক্লাসিক ছবি দেখতে ভালোবাসি।

এসময় আফসানা মিমি নিজের নির্মিত ‘অফ দ্য মার্ক’ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমাদের ছোট ছোট সুখ দুঃখের গল্পগুলোও বলা দরকার। সেই জায়গা থেকেই ‘অফ দ্য মার্ক’ বানিয়েছি। বিশেষ করে যারা কিশোর-তরুণ, তারা এবং তাদের অভিভাবকদের এই কাজটি দেখতে বলবো।

মিমির নতুন সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হয়েছে বাগেরহাটে। সেখানে গিয়েই দীপু চরিত্রে চূড়ান্ত করা হয়েছে আরহামকে। আরও অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নুর ইমরান, শারমিন আক্তার শর্মী, হায়াতুজ্জামান খান, খালিদ হাসান রুমি, আরিবা, আনাস, শামসুল হাদি, আশরাফুল আলম, তামান্না ইসলাম প্রমুখ।