লেক অন্টারির তীরে সংস্কৃতিকর্মীদের ব্যতিক্রমী পূর্ণিমার আসর

আকাশজুড়ে মেঘ আর চাঁদের লুকোচুরি আর লেক অন্টারিওর তীরে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ ধ্বনি। এমনি এক মোহনীয় পরিবেশে খোলা আকাশের নীচের গান আর কবিতায় কবিতায় সাঁতার কেটে টরন্টোর সংস্কৃতিকর্মীরা উদযাপন করেছে ‘পূর্ণিমার আসর’।

টরন্টোর ব্লাফার্স পার্কে লেক অন্টারিওর তীরে ২৩ জুন সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে এই আয়োজনে মধ্যরাত অবধি গান, আবৃত্তি আর কথামালায় অভূতপূর্ব এক পরিবেশ তৈরি হয়।

আবৃত্তি শিল্পী, সাংস্কৃতিক সংগঠক হিমাদ্রী রায় এর সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির শিল্পীরা অংশ নেন। শহরে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন হলেও খোলা আকাশের নীচে লেকের পাড়ে এই ধরনের আয়োজন এই প্রথম।

প্রাণায়ামের মধ্যদিয়ে পূর্ণিমার আসরের শুরু হয়। রবীন্দ্রনাথের গানের নৈবেদ্য দিয়ে সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী নাহিদ কবির কাকলি। এর পর একে একে সঙ্গীত ও কবিতায় ছিলেন ফারহানা শান্তা, শিখা আখতারি, সৈয়েদা রোখশানা, মৈত্রেয়ী দেবী,শিরিন চৌধুরী, আরিয়ান হক, রোমিও গোমেজ, ফরিদা ইয়াসমিন হ্যাপি, সুমন মালিক, নাজমা কাজী,ফাতমা বিদূর, ফারিয়া, দিলারা নাহার বাবু, মুনিমা শারমিন প্রমূখ।

বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংস্কৃতিপ্রেমী শওগাত আলী সাগর এবং সংগঠক সিপ্রা চৌধুরী। উপস্থিতি ছিলেন অন্যমেলার কর্ণধার সাদী আহমেদ, নাট্য ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক শারমিন শর্মী। সমাপনী বক্তব্যে সাঈদা বারী আগামীতে জল-জোছনা উৎসবের প্রতি সংহতি জানিয়ে সবাইকে সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান সুলতানা হায়দার ও অরুণা হায়দার।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী সুলতানা হায়দার, অরুনা হায়দার, টরন্টোর বাংলা বইমেলার সংগঠক সাদী আহমেদসহ শিল্পী, সাহিত্যক, সংস্কৃতিকর্মীরা অংশ নেন।

রবীন্দ্রনাথের গানে ও মামুনুর রশীদের বাঁশিতে অনুষ্ঠান শেষ হয়। সঞ্চালনায় ছিলেন হিমাদ্রী রায়, কিবোর্ডে ছিলেন রুপতনু শর্মা, সাউন্ডে ছিলেন মামুন রশিদ।

বিষয় ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন হিমাদ্রীর রায়। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আরিয়ান হক ও মামুনুর রশীদ। পোস্টার ও ব্যানার করেছেন রাশেদ শাওন।