ঈদুল আজহায় ক্রেতাশূন্য পোশাকের বাজার

ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেক ক্ষেত্রে ঈদ বাজার জমে উঠতে শুরু করলেও ক্রেতাশূন্যতা দেখা গিয়েছে রাজধানীর বেশ কিছু পোশাকের বাজারে। এর কারণ হিসেবে পোশাকের অনলাইন ব্যবসাকে দুষছেন বিক্রেতা এবং পোশাক ব্যবসায়ীরা। ‌

হাতে গোণা করেকদিন দিন পরই দেশজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা পালন করা হবে। তবে ঈদ চলে এলেও পোশাকের মার্কেটগুলোতে আসছেন না ক্রেতারা। পোশাকের উপর বিশেষ ছাড়ও যেন আকর্ষণ করছে না ক্রেতাদের।

শুক্রবার ৭ জুন রাজধানীর বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গিয়েছে এমন চিত্র।

রাজধানীর নিউমার্কেটের এক পোশাক বিক্রেতা মোঃ নাছিম বলেন, আমরা দোকানে এখন তিন জন বিক্রেতা আছি, কিন্তু সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বেচাকেনা হয়নি। দুপুরে মহাজন আসলে আমাদের জবাবদিহি করতে হয় যে এক পয়সাও বেচাকেনা কেন হয়নি। এখন আমাদের ব্যবসা নষ্ট হচ্ছে মূলত অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসাগুলোর জন্য। তারা আমাদের থেকেই কাপড় কিনে নিয়ে যায় আর অনলাইনে বিক্রি করে। বাসায় বসে কাপড় পেলে ক্রেতারা মার্কেটে আর কেন আসবে।

কিছুটা একই অবস্থা দেখা গেছে রাজধানীর গাউসিয়া মার্কেটেও। গাউসিয়া মার্কেটের এক দোকানের বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের দোকানের বেশিভাগ কাপড় দেশের বাইরের। আমরা ভারত-পাকিস্তান থেকে চাহিদা অনুযায়ী কাপড় এনে বিক্রি করি। গত রমজানের ঈদে আমাদের বেচাকেনা অনেক ভালো হয়েছে কারণ তখন এতো গরম ছিল না। কিন্তু এখন যেমন গরম সেই কারণে মার্কেটে ক্রেতা কম, সবাই পোশাক কেনার জন্য অনলাইনকে বেছে নিচ্ছে।

রাজধানীর প্রিয়াঙ্গন মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, রমজানের ঈদে আমাদের যে পরিমাণ বেচাকেনা হয়েছে সেই তুলনায় এবার নাই বললেই চলে। আগে থেকেই ধারণা করতে পারছিলাম যে এবার বেচাকেনা কম হতে পারে। তাই দোকানে মালও এবার কম তুলেছি। কিন্তু আগামীতে যে অবস্থা দাঁড়াচ্ছে মার্কেটে ক্রেতা আরও কমে যাবে। আমার পানির দামে কাপড় ছেড়েও ক্রেতা পাচ্ছি না।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর পোশাক মার্কেটগুলো ক্রেতাশূন্য থাকলেও অন্য ক্ষেত্রে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদ বাজার। ভিড় দেখা গিয়েছে মশলা ও ক্রোকারিজের দোকানগুলোতে। তবে আগামী সপ্তাহে কিছুটা বিক্রি বাড়তে পারে বলে পোশাক ব্যবসায়ীরা এখনও আশাবাদী।