ডিএমপির কুইক রেসপন্স টিম যেভাবে পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় মাঠে থাকবে 

আগামী রোববার (৩০ জুন) থেকে এইচএসসি, আলীম ও ভোকেশনাল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এবার ঢাকা মহানগরীতে ৮০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর এইচএসসি পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে থাকে। এই পরীক্ষার্থীদের যেকোনো অসুবিধা মোকাবেলা করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি জোন কর্তৃক আলাদা আলাদা ‘কুইক রেসপন্স টিম’ প্রস্তুত থাকবে এবং আলাদা ট্রাফিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এইচ এস সি পরীক্ষা ২০২৪ উপলক্ষে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো.মুনিবুর রহমান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার ৮০ টি কেন্দ্র ঢাকা মহানগরে আছে। পরীক্ষার কেন্দ্রমুখী যেসব রোড রয়েছে সেখানে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে। ‌ পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে সেই প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের। এছাড়া প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারি চালিত রিক্সা করতে দেওয়া হবে না।

অপরের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে পরীক্ষার কেন্দ্র বেশি সেখানে কুইক রেসপন্স টিম বেশি থাকবে। কুইক রেসপন্স টিম বিভিন্ন রোডে থাকবে। রাস্তায় যদি কোন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি করে অথবা বিপদে পড়ে সেখানে কুইক রেসপন্স টিম পরীক্ষার্থীদের দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছানোর কাজ করবে।

পরীক্ষার্থীদের জন্য যেসব নির্দেশনা

  • পরীক্ষার হলে রওনা দেয়ার পূর্বে অবশ্যই প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কলম সাথে নিন।
  • পরীক্ষা শুরুর আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থান ভালো করে জেনে নিন এবং আপনার বাসা থেকে কোন রুটে যেতে হবে তার পরিস্কার ধারণা নিন।
  • পরীক্ষা শুরুর পূর্বে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী/অভিভাবকগণকে সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা হতে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। পরীক্ষা শুরুর নূন্যতম ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে।
  • যে সকল সড়ক পারাপারে রেল ক্রসিং আছে তা বিবেচনা করে বাসা হতে সময় নিয়ে রওনা দেওয়া জরুরি। আপনার বাসার বা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের সড়কে যদি কোন খোঁড়াখুঁড়ি/মেরামত কাজ চলে তবে তা বিবেচনায় নিয়ে সময়মত রওনা দিতে হবে।
  • পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহনে চলাচলের অনুরোধ করা হলো। কোন অবস্থাতেই গণপরিবহনে ঝুলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করবেন না।
  • যে সকল পরীক্ষার্থী মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্রে গমন করবেন তারা অবশ্যই নিরাপত্তাজনিত কারণে হেলমেট পরিধান করবেন।
  • পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীবৃন্দ যানজট বা কোন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকুন, প্রয়োজনে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন এবং পুলিশের সহায়তা নিন। রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং থাকলে ব্যবহার করুন।
  • পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে অযাচিত পার্কিং না করে অভিভাবক/পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত যানবাহন পরীক্ষা কেন্দ্র হতে দূরবর্তী নিরাপদ স্থানে পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
  • পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফলে অন্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়। তাই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে কেন্দ্রের সামনে প্রধান গেটে ও রাস্তায় না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে আড্ডা দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • গত একবছরে মেট্রোরেল, এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এগুলো ব্যবহার করেও পরীক্ষা কেন্দ্রে দ্রুত পৌঁছানো যাবে।
  • বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে বিধায় অবশ্যই ছাতা, রেইনকোর্ট কিংবা বৃষ্টি হতে রক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সাথে নিয়ে বাসা হতে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
  • যে কোন জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করুন।

ব্রিফিংয়ে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান, ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম ও মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।