আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দেশে সমন্বয় হচ্ছে না জ্বালানি তেলের দাম

স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণে নীতিমালা মানা হচ্ছে না। নীতিমালা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মিল রেখে কমানো এবং বাড়ানোর কথা। তা না করে তেল বিক্রিতে নির্দিষ্ট লাভের চেয়ে বেশি রাখা হচ্ছে। সরকার তার নিজের করা নীতি নিজেই মানছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

নির্ধারিত লাভ রেখে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে প্রতি মাসে জ্বালানি তেল এবং এলপি গ্যাসের দাম ঠিক করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে এই দুই পণ্যই সাধারণত এক সাথে বাড়ে বা কমে। কয়েক মাস ধরে দুটি পণ্যের দাম কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় এলপি গ্যাসের দাম কমিয়েছে বিইআরসি। কিন্তু একই প্রেক্ষাপট হলেও পর পর দুই মাস জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে বিপিসি।

গত দুই মাসে ডিজেল কেরোসিনে লিটার প্রতি এক টাকা ৭৫ পয়সা আর পেট্রোল অকটেনে ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। একই সময় এলপি গ্যাসের দাম কমানো হয়েছে কেজিতে ৬ টাকা ৬৩ পয়সা। এটা অন্যায় ভাবে সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম জানিয়েছেন, নীতিমালা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে দেশে কমানোর কথা। আর বাড়লে বাড়ানো হবে। সবসময় ডিজেলের চেয়ে দশ টাকা বেশি থাকবে পেট্রোলের দাম। কিন্তু স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ শুরুর প্রথম থেকেই সে নিয়ম মানা হয়নি।

জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় সৌদিআরব কিছু প্রকল্প পুনঃমূল্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু দেশে দাম কমানো হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।