শান্ত-লিটনের উন্নতি, অবনতি মোস্তাফিজ-শরিফুলের

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সুপার এইটে ব্যর্থ হয়েছে টিম টাইগার্স। সেখানে ব্যাট হাতে পারফর্ম করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস। ভালো করেছেন তাওহীদ হৃদয়ও। ফলও পেলেন। আইসিসির সবশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন তিন টাইগার ব্যাটার। বল হাতে উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন রিশাদ হোসেন। সুযোগ পেয়ে ভালো করেছেন শেখ মেহেদী। তবে অবনতি হয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামের।

ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তিনধাপ এগিয়ে এসেছেন হৃদয়। ৫৭৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষে আছেন। ২৭ নম্বরে আছেন যৌথভাবে শ্রীলঙ্কার পাথুম নিশাঙ্কার সাথে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি দিয়ে রানে ফিরেছেন লিটন। এগিয়েছেনও চারধাপ। ৫২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এসেছেন ৩৯ নম্বরে। যৌথভাবে অবস্থান করছেন সাউথ আফ্রিকার ডেভিড মিলারের সাথে।

গ্রুপপর্বে আলো ছড়াতে না পারলেও সুপার এইটে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান পেয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এগিয়েছেন র‌্যাঙ্কিংয়ে। ৭ ধাপ এগিয়ে ৪৯৯ পয়েন্ট নিয়ে এসেছেন ৪৭ নম্বরে। সেখানে সঙ্গী ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি, নিউজিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল ও আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং।

৮ ধাপ অবনতি হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ৪০৫ রেটিং নিয়ে নেমেছেন ৮১ নম্বরে। নয় ধাপ অবনতিতে সাকিব নেমেছেন ৮৪ নম্বরে। ৪০১ রেটিং পয়েন্ট তার। বিশ্বকাপে না থাকা আফিফ হোসেনের অবনতি হয়েছে ছয় ধাপ। ৩৭৫ রেটিং নিয়ে নেমেছেন ৯৫ নম্বরে।

দীর্ঘদিন পর ব্যাটারদের শীর্ষস্থানে এসেছে পরিবর্তন। ভারতের সূর্যকুমার যাদবকে ঠেলে সিংহাসন দখলে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। ৮৪৪ পয়েন্ট নিয়ে সূর্যকুমারের পাশাপাশি পেছনে ঠেলেছেন ফিল সল্ট, বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। ৮৪২ পয়েন্ট নিয়ে সূর্যকুমার দুইয়ে, ৮১৬ পয়েন্ট নিয়ে সল্ট তিনে, ৭৫৫ পয়েন্ট নিয়ে বাবর চারে এবং ৭৪৬ পয়েন্ট নিয়ে রিজওয়ান পাঁচে নেমেছেন।

বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন ও শেখ মেহেদী। তিন ধাপ এগিয়ে ২৪ নম্বরে এসেছেন রিশাদ। ৫৮৯ পয়েন্ট নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন তাসকিন আহমেদ, ভারতের জাসপ্রীত বুমরাহ ও আফগানিস্তানের নাভিন উল হকের সঙ্গে। তানজিম সাকিব এগিয়েছেন চার ধাপ। ৪৬০ পয়েন্ট নিয়ে ৬৫ এসেছেন এ পেসার। বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। ইকোনমি নিয়ন্ত্রণে রেখে বল করে পেয়েছেন সাফল্য। পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন। ৫৩৯ পয়েন্ট নিয়ে এসেছেন ৩৪ নম্বরে।

মোস্তাফিজুর রহমানের অবনতি হয়েছেন চার ধাপ। ৬২০ পয়েন্ট নিয়ে নেমেছেন ১৮ নম্বরে। সাকিবের অবনতি হয়েছে চার ধাপ। ৫১৬ রেটিং নিয়ে তার অবস্থান ৪০ নম্বরে। বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া শরীফুল নেমেছেন ৮ ধাপ। ৪৫৫ রেটিং নিয়ে আছেন ৬৬ নম্বরে।

বিশ্বকাপ দলে না থাকা হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদের অবনতি হয়েছে ৪ ধাপ করে। ৪৩২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুজনে যৌথভাবে আছেন ৭৫ নম্বরে। ৭১৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বল হাতে শীর্ষে রয়েছেন ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রশিদ খানের রেটিং পয়েন্ট ৬৮১।

অলরাউন্ডারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ নেমেছেন সাকিব। ১২ রেটিং পয়েন্ট কমায় নেমে গেছেন ছয়ে। অজি অলরাউন্ডার স্টয়নিস গত সপ্তাহে ২৩১ রেটিং নিয়ে শীর্ষে উঠেছিলেন। সুপার এইটের ব্যর্থতায় ২০ পয়েন্ট হারিয়েছেন। একলাফে নেমে গেছেন চারে। ২২২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এসেছেন হাসারাঙ্গা। দুধাপ এগিয়েছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি। ২১৪ রেটিং পয়েন্ট তার। ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া করেছেন দুর্দান্ত। ২১৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন তিনে। ২১০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে বহাল আছেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা।

অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে টাইগারদের মধ্যে উন্নতি করেছেন রিশাদ ও শেখ মেহেদী। ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ৪১ নম্বরে এসেছেন। শেখ মেহেদী উন্নতি করেছেন একধাপ। ৭১ পয়েন্ট নিয়ে উঠেছেন ৫৩ নম্বরে। মাহমুদউল্লাহর অবনতি হয়েছ চার ধাপ। ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে নেমেছেন ৪৫ নম্বরে। আফিফ হোসেন নেমেছেন পাঁচ ধাপ। ৪৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আছেন ৮০ নম্বরে।