বিজ্ঞান একাডেমির সহযোগী ফেলো নির্বাচিত হলেন যবিপ্রবির ইমরান খান

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সহযোগী ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. ইমরান খান।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. হাসিনা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এরআগে গত সোমবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস কাউন্সিলের ১০ম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় যবিপ্রবির সহযোগী অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. ইমরান খানকে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির (৫ নং অনুচ্ছেদ) অনুযায়ী সহযোগী ফেলো হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

ইমরান খান বলেন, জাতীয়পর্যায়ে বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়াটা একজন গবেষক হিসেবে আনন্দের। এছাড়াও এ অর্জন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে সুনাম বয়ে এনেছে। আমার সহকর্মী, শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি যাদের সহযোগিতা আমার গবেষণা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করেছে এবং এর কারণে আন্তর্জাতিক ও জাতীয়পর্যায়ে বিভিন্ন স্বীকৃতি অর্জন করেছি।

বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়াও ড. ইঞ্জি. ইমরান খান টানা চারবার এলসেভিয়ার ও স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএ এর সম্মিলিতভাবে প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকাতে স্থান অর্জন করেন। জাতীয়পর্যায়ে বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তাকে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্তর ও সংগঠন থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।

উল্লেখ্য, এই ফেলোশিপটি তরুণ বিজ্ঞানীদের দেওয়া হয় যাদের বয়স ৪৫ বছরের কম, উচ্চতর গবেষণা ডিগ্রি রয়েছে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অসাধারণ প্রতিভাবান, প্রতিশ্রুতিশীল এবং একটি স্বীকৃত ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রধান বৈজ্ঞানিক সংস্থা। এটি অন্যান্য সোসাইটি এবং অ্যাসোসিয়েশনের মতো সংস্থাগুলোর তুলনায় মাত্রা এবং চরিত্রে অনন্য। একাডেমিটি দেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ফেলোদের সমন্বয়ে একটি অরাজনৈতিক, বেসরকারি সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে।