বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগের সীমা তুলে নেবে মালদ্বীপ

মোহাম্মদ মাহামুদুল: মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান মনে করেন, মালদ্বীপকে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের সীমা তুলে নিতে হবে। মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী বিদেশি দেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা এক লাখে বেঁধে দেওয়া আছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মালদ্বীপে প্রায় ৯৬ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে উল্লেখ করে পার্লামেন্টের ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস কমিটির সঙ্গে বৈঠকে আলী ইহুসান বলেছেন, আমরা সংসদে এই সীমা তুলে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করব। তবে সুরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু না করা পর্যন্ত আমরা সুপারিশ করবো না।

তিনি বলেন, মালদ্বীপে শ্রমের বর্তমান চাহিদা এবং ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করে বাংলাদেশি শ্রমিকের ওপর যে এক লাখ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা আমাদের অবশ্যই বাদ দিতে হবে। নির্দিষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন না করে বাদ দেওয়া যাবে না, যার মধ্যে প্রধান হলো সব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য রেকর্ড করার ব্যবস্থা তৈরি করা।

তিনি আরও বলেন, অফিসিয়াল ওয়ার্ক পারমিটের পাশাপাশি প্রবাসীরা যে দ্বীপে কাজ করে সেখান থেকে আলাদা পারমিট দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হবে তাহলে অবৈধ অভিবাসন সমস্যা কমাতে পারে। তারা যে দ্বীপে আসছে সেখানে বরাদ্দ দেওয়ার পরে, সিস্টেমের মাধ্যমে এবং কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত হওয়ার পরেই তাদের একত্রিত করতে হবে।

মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান বলেন, আমরা এই উন্নয়নকে সিস্টেমে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে শ্রমিক আনার একাধিক ঘটনা তদন্তের জন্য গত এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, মালদ্বীপের বর্তমান শ্রমিকের চাহিদা অনেক এক লাখ শ্রমিকের সীমা বজায় রেখে শ্রমিকের চাহিদা পূরণ করতে পারবোনা।বাংলাদেশের শ্রমিক এই সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে ঘোষণা দেওয়ার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল মালদ্বীপ।

অবৈধ অভিবাসন মালদ্বীপে দীর্ঘদিনের সমস্যা সেই সমস্যা সমাধান না হতেই বতমান ক্ষমতাসীন সরকার গত বছরের ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিল। কিন্তু গত এপ্রিল মাসে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মালদ্বীপের অবৈধ অভিবাসন রুখতে ‘কুরাঙ্গি’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অভিযানের আওতায় এখন পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি অভিবাসীর বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করা হয়েছে।

তবে মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা কখন প্রত্যাহার করা হবে তা বলতে পারেনি। কারণ মালদ্বীপে শ্রমিক আনার জন্য জাল নথি ব্যবহার করা হয়েছে এমন একাধিক ঘটনার তদন্ত অব্যাহত তদন্ত শেষে বলা যাবে। কবে নাগাত তদন্ত শেষ হবে তার বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।