হাঁপানির সমস্যা কমাতে কার্যকর যে ভিটামিন

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে। আর আশেপাশে বায়ুদূষণের জন্য এই সমস্যা ভয়াবহ রূপ নেয়। তবে সবচেয়ে বেশি এই সমস্যায় ভুগে শিশুরা।

ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই)-এর তথ্য বলছে, যেসব শিশুর শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম, তাদেরই বেশি হাঁপানিতে ভুগতে দেখা যায়।

গবেষকদের দাবি, ভিটামিন ডি শ্বাসনালির সঙ্কোচনে বাধা দেয়। শ্বাসযন্ত্রের ভিতরে প্রদাহ হতে দেয় না। ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমে। জার্নাল অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিকাল ইমিউনোলজি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২০ জন শিশুর উপরে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, স্থূলত্ব, ভিটামিন ডি-এর অভাব ও দূষণ শিশুদের হাঁপানির অন্যতম তিন কারণ।

ভিটামিন ডি-কে দু’ভাগে ভাগ করা হয় ভিটামিন ডি৩ ও ভিটামিন ডি২। সূর্যের আলোয় বা রোদে ভিটামিন ডি৩ আমাদের ত্বকেই তৈরি হয়। তবে এই রোদ হতে হবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে।

ভিটামিন ডি-এর ৮০ শতাংশ আসে সূর্যের আলো থেকে। বাকি ২০ শতাংশ বিভিন্ন খাবার থেকে পাওয়া যায়। স্যামন ও টুনা মাছ ভিটামিন ডি-র ভাল উৎস। এই মাছ রোজের ডায়েটে রাখলে ক্যালশিয়াম ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডেরও ঘাটতি মেটে।

যে কোনও দানাশস্যেই যথেষ্ট ভিটামিন ডি থাকে। তাই রোজের ডায়েটে ওট্‌স রাখা ভাল। প্রাতরাশে দুধ-ওট্‌স খাওয়াতে পারেন শিশুদের। শুকনো ফলও ভিটামিন ডি-এর উৎস। এ ক্ষেত্রে কাঠবাদাম, খেজুর, আখরোট খুবই উপকারী। পালং শাকে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম থাকে।

তবে শিশুর ডায়েট ঠিক করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শিশুর হাঁপানি হলে আতঙ্কের কারণ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শমতো চললে এবং ঠিকমতো চিকিৎসা করালে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।